একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে লিটু আনামের গ্রন্থ ‘রিহলা’


একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে লিটু আনামের গ্রন্থ ‘রিহলা’

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এ প্রকাশিত হচ্ছে নিউইয়র্ক প্রবাসী কথা সাহিত্যিক লিটু আনামের ভ্রমণ উপন্যাস ‘রিহলা: প্রকৃতির টানে প্রকৃতির পানে’। 

ইতিহাসের কিংবদন্তি ভ্রমণকারী ইবনে বতুতার রিহলা বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের বিস্ময়কর কাহিনির এক অমূল্য দলিল। বিশেষ করে কেউ বেড়াতে গেলে সে যা যা দেখে তাই লিখে ফেলে। ভ্রমণের বই হিসেবে সেটাতে এক ধরনের টেস্ট পাওয়া যায়। তবে ইবনে বতুতার ভ্রমণের বই বিখ্যাত হবার অন্যতম একটি কারণ হলো তিনি যে দেশে গিয়েছেন সে দেশে বসবান করেছেন। ১১ বছর তিনি ভারতবর্ষে ছিলেন। ভারতবর্ষে তিনি তৎকালীন সুলতানের অধীনে কাজীর দায়িত্ব পালন করেন। রচনা করেন তার বিখ্যাত গ্রন্থ রিহলা। 

তারই পথ ধরে লেখা হয়েছে রিহলা: প্রকৃতির টানে প্রকৃতির পানে, যেখানে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পেয়েছে নতুন এক ব্যাখ্যা। লিটু আনামের লেখা ভ্রমণ উপন্যাস ‘রিহলা: প্রকৃতির টানে প্রকৃতির পানে’ বইটি ভালো লাগবে। কারণ লিটু আনাম দীর্ঘ এক যুগের বেশী সময় ধরে আমেরিকায় বসবাস করছেন। ভ্রমণ করেছেন বিভিন্ন প্রদেশ এবং আমেরিকা ও কানাডার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। ছুটে চলা যার নেশা। তিনি যা দেখেন তাই লেখেন। একেবারে ধরে ধরে তিনি বর্ণনা করেছেন। আধুনিক সভ্যতার বিশালত্ব, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রূপ এবং সংস্কৃতির বৈচিত্র্যের সমন্বয় নিয়ে রচিত এই ভ্রমণ কাহিনি পাঠকদের এক ভিন্ন আমেরিকা দেখাবে। নিউইয়র্কের ঝলমলে আলোকিত রাত্রি, গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মুগ্ধতা, আমেরিকার গ্রামীন জীবনের সাদামাটা চার্ম, ইতিহাসের স্মৃতিসৌধ এবং আধুনিক স্থাপত্যের অপরূপতা সবকিছুর ভান্ডার হচ্ছে রিহলা। রিহলা শুধু একটি ভ্রমণ কাহিনি নয়; এটি ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষের ভেতরের পরিবর্তন, উপলব্ধি, এবং বিশ্বকে নতুন চোখে দেখার এক অনন্য প্রয়াস। প্রতিটি অধ্যায়ে পাঠক অনুভব করবেন কেমনভাবে ভ্রমণ মানুষকে তার শেকড় থেকে মুক্ত করে এক মহাবিশ্বের অংশ করে তোলে।
 
‘রিহলা’ গ্রন্থটি প্রকাশিত হবে প্রিয়মুখ প্রকাশনী থেকে। অমর একুশে বইমেলায় প্রিয়মুখ স্টলে পাওয়া যাবে। মেলার পর রকমারিসহ সব অনলাইন শপ থেকে অর্ডার করা যাবে। 

বইটির প্রচ্ছদ করেছেন হোসেন শাহরিয়ার তৈমুর এবং অলংকরণ করেছেন রায়হান শশী।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×