বিয়ে বাড়িতে মাইক বাজানোয় কনের মা-বাবাকে বেত্রাঘাত


বিয়ে বাড়িতে মাইক বাজানোয় কনের মা-বাবাকে বেত্রাঘাত

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের কালির চর গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে মাইক ব্যবহারকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জেরে সালিশ আয়োজন করা হয়, যেখানে ভুক্তভোগী পরিবারের একাধিক সদস্যকে বেত্রাঘাত করা হয়। এরপর ক্ষমা চাওয়ার পরও ওই পরিবারের ওপর চাপানো হয় ৩০ হাজার টাকার জরিমানা। জরিমানার টাকা দিতে না পারায় জামাতার একটি অটোরিকশা আটক রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারটি।

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, গত সেপ্টেম্বরে তাদের একটি মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে মাইক ব্যবহার করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাদের কাছে প্রতিবাদ করতে গেলে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে প্রভাবশালী কয়েকজন সালিশদারের মাধ্যমে সালিশ বসানো হয়, যেখানে পরিবারটির সবাইকে ১৫ বার করে বেত্রাঘাত করা হয়।

পরিবারের কন্যার বাবা শাহজাহান বলেন, “আমি গরীব মানুষ, মেয়ের বিয়েতে শখ করে মাইক বাজিয়েছি। এর জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন আমাদের সবাইকে মারধর করেছে। সালিশদাররা আমাদের ১৫টি করে বেত্রাঘাতের রায় দেন। বারবার ক্ষমা চাওয়ার পরও আমাদের প্রতি কর্ণপাত করা হয়নি। এরপর তারা ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছেন। জরিমানার টাকা জোগাড় করতে না পারায় জামাইয়ের অটোরিকশা আটকে রাখা হয়েছে। সমাজে অনেকের কাছে গিয়েছি, কিন্তু কোনো বিচার পাইনি।”

হাতিয়া থানার সাগরিয়া ফাঁড়ির পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ হোসেন বলেন, “বিয়েতে মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। উভয় পক্ষকে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তারা গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করায় আমি সেখানে আর উপস্থিত থাকিনি। পরে আমাকে এ বিষয়ে আর কিছু জানানো হয়নি এবং লিখিত অভিযোগও করা হয়নি।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×