আল জাজিরার ক্যামেরাম্যানের ২ পায়ে গুলি করল ইসরাইলি সেনারা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:৫২ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
গাজায় ইয়েলো লাইন অতিক্রমের অভিযোগ তুলে আবারও দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। একইদিনে পশ্চিম তীরের তুলকারেমে বিক্ষোভ কাভার করতে গিয়ে আল জাজিরার একজন ক্যামেরাম্যান ইসরাইলি বাহিনীর ছোড়া গুলি দুই পায়ে বিঁধে গুরুতর আহত হন।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) পশ্চিম তীরের তুলকারেমে নিয়মিত অভিযানের নামে বাড়িঘর ভাঙচুর ও অবরোধের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভে নামেন। ওই বিক্ষোভই ভিডিও করছিলেন আল জাজিরার চিত্র সাংবাদিক ফাদি ইয়াসমিন। সেই সময় তার দুই পায়ে গুলি করে ইসরাইলি সেনারা।
গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির মধ্যেও উত্তেজনা থামেনি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল ও ফিলিস্তিনিদের চলাচলের নির্দিষ্ট সীমা নির্দেশক ইয়েলো লাইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আরও দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরাইলি বাহিনী।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বক্তব্য- ফিলিস্তিনিরা লাইন স্পর্শ না করলেও প্রায়ই ইসরাইলি সেনাদের গুলির শিকার হচ্ছেন।
এদিকে, মঙ্গলবার পশ্চিম তীরে এক ইসরাইলি নাগরিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় এবং একাধিক ব্যক্তি আহত হন। ঘটনাটি নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, “আজ আমরা আরও একটি ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী হামলার মুখোমুখি হয়েছি এবং আমরা সব ফ্রন্টে যুদ্ধবন্ধ করতে চাই। তবে এর আগে হামাসকে নিরস্ত্র করা হবে এবং উপত্যকাটিতে যেন আর কখনও বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি হতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৩-০ ভোটে গৃহীত প্রস্তাবকে ঘিরে গাজায় নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। হামাসসহ কয়েকটি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর অভিযোগ, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন মানে “গাজায় বাইরের অভিভাবকত্ব চাপিয়ে দেওয়া”, যা ফিলিস্তিনিদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে। তাদের দাবি, ইসরাইলি হামলা, দখলদারি ও পশ্চিম তীরে প্রতিদিনের সহিংসতার প্রকৃত কারণগুলো প্রস্তাবে উল্লেখই করা হয়নি।
প্রস্তাব বিষয়ে চীন স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে, ফিলিস্তিনের শাসন কাঠামো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র ফিলিস্তিনিদেরই।
তবে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারসেন আগাবেকিয়ান শাহিন প্রস্তাবটিকে ‘‘দীর্ঘ শান্তিপথের প্রথম সোপান’’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয় পরে দেখা যাবে।