প্রবাসীরা যেকোনো সময় অনলাইনে ভোটার নিবন্ধন করতে পারবেন: ইসি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:৩৮ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে আগ্রহী প্রবাসীরা এখন বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কোনো সময় অনলাইনে ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, প্রবাসীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীতে মক ভোটিং বা পরীক্ষামূলক ভোটের আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে টিকটক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
তিনি বলেন, পূর্বে বিশ্বকে আটটি অঞ্চলে ভাগ করে প্রতিটি অঞ্চলের জন্য পাঁচ দিন করে নিবন্ধনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে ২৭ নভেম্বর রাত ১২টার পর থেকে এই অঞ্চলভিত্তিক সীমাবদ্ধতা এবং পাঁচ দিনের সময়সীমা তুলে নেওয়া হবে। ফলে প্রবাসীরা বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে সুবিধামতো সময়ে অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধনের শেষ তারিখ ১৮ ডিসেম্বর অপরিবর্তিত থাকবে।
ইসি সচিব আরও জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়াটি দক্ষভাবে সম্পন্ন করতে শনিবার মক ভোটিং আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “শনিবার সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শেরে বাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মক ভোটিং করা হবে। এর ফলাফলের ভিত্তিতে কেন্দ্র সংখ্যা বৃদ্ধি, সমন্বয়, ভোটকক্ষ বা জনবল বাড়ানো-কমানোর মতো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।”
অধ্যাদেশে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আখতার আহমেদ বলেন, “দায়িত্বের আভাস পাওয়ার পর থেকেই আমরা মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছি। কাগজে-কলমে এবং মাঠ পর্যায়ের প্রস্তুতিও আগেই শুরু হয়েছে। আমরা অগ্রিম প্রস্তুতি নিয়ে কাজ এগিয়ে রাখছি।”
উল্লেখ্য, ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যৌথভাবে টিকটক একটি ওয়ার্কশপ আয়োজন করেছে, যেখানে অনলাইনে সঠিক তথ্য প্রচার এবং অপতথ্য প্রতিরোধের বিষয় আলোচনা হয়েছে। ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপদ ও তথ্যভিত্তিক ডিজিটাল পরিবেশ তৈরির উপায় নিয়েও মতবিনিময় হয়েছে। এই কর্মশালায় টিকটকের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন সাউথ এশিয়া অঞ্চলের হেড অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিলেশনস ফেরদৌস মুত্তাকিন।
ইসি জানিয়েছে, নির্বাচন নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করতে এবং বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের নির্ভরযোগ্য তথ্য নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে একযোগে কাজ চালিয়ে যাবে টিকটক।