রাজধানীতে ককটেল হামলার পর সব ধর্মীয় স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৭:৫১ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২৫
রাজধানীতে সাম্প্রতিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার পর দেশের অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। একই সঙ্গে ধর্মীয় সহাবস্থান ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিঘ্ন ঘটানোর যে কোনো চেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে সরকারি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া এই বিস্ফোরণের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এই ঘটনায় ২৮ বছর বয়সি এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে তাকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন যুবককে কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল এবং সেন্ট জোসেফ স্কুল প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণসহ একাধিক ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ডিএমপি যৌথভাবে রাজধানীজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে, যাতে এই ‘জঘন্য ও কাপুরুষোচিত সহিংসতায়’ জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা যায়।
সরকার জানিয়েছে, রাজধানীর সব গির্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ধর্মীয় সহাবস্থান, আন্তঃধর্মীয় ঐক্য এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চারটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং লেখক ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনা’র সীমানার ভেতরে এবং বাইরে দুইটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনেও একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে।
এছাড়া ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর প্রধান সড়কের মাইডাস সেন্টারের সামনে এবং ধানমণ্ডি-৯ নম্বরের ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনেও দুইটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।