দুই লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার অনুমোদন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:৪৭ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
দেশের সার মজুত ও সরবরাহ নিশ্চিতে চীন, সৌদি আরব, মরক্কো এবং কাফকো থেকে দুই লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা। ক্রয় তালিকায় রয়েছে ৭০ হাজার টন ইউরিয়া, এক লাখ ২০ হাজার টন ডিএপি এবং ৩০ হাজার টন টিএসপি সার। পাশাপাশি ৫৫ কোটি ২৫ লাখ টাকায় সার সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণের প্রকল্পেও সম্মতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রো-নিউট্রিয়েন্টস থেকে ৯ম লটে ৪০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৯৪ কোটি ৫৫ লাখ ৮০ হাজার ২৮০ টাকা, অর্থাৎ প্রতি টন ৩৯৬.৪১ মার্কিন ডলার।
একই মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাব অনুযায়ী, কাফকো থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ লটের ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ১৪৩ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। প্রতি টন মূল্য ৩৮৯ মার্কিন ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বাক্ষরিত চুক্তির অংশ হিসেবে চীনের ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড থেকে ৭ম লটে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৩৫০ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা, প্রতি টন ৭১৩.৭৫ মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া সৌদি আরবের মা'আদেন এবং বিএডিসির মধ্যকার চুক্তির আওতায় ১১তম লটে আরও ৪০ হাজার টন ডিএপি আমদানির অনুমোদন পায় যার মোট ব্যয় ৩৫০ কোটি ২২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা (প্রতি টন ৭১৩ ডলার)। একই শর্তে ১২তম (ঐচ্ছিক–১ম) লটের আরও ৪০ হাজার টন ডিএপি আমদানিতেও সম্মতি দিয়েছে সরকার।
মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ১৩তম লটে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৯০ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, প্রতি টন ৫১৬ মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সহজ করতে ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় একটি সাইটের গুদাম নির্মাণকাজের ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। অনুমোদিত ব্যয় ৫৫ কোটি ২৫ লাখ ৫৮ হাজার ৮১২ টাকা, আর কাজটি সম্পাদন করবে মেসার্স এসএস রহমান ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।