ব্যাংকের এমডি ও সিইও নিয়োগে নতুন নির্দেশনা


ব্যাংকের এমডি ও সিইও নিয়োগে নতুন নির্দেশনা

বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে এমডি বা সিইও নিয়োগের মানদণ্ড আরও কঠোর হলো। নতুন নীতিমালার ফলে এখন থেকে শীর্ষ পদে উঠতে আগের তুলনায় বেশি অভিজ্ঞতা ও নির্দিষ্ট পদে কাজের প্রমাণ লাগবে। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সরাসরি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী হওয়ার পথ পাচ্ছেন।

বুধবার ২৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগ এই সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, এমডি হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীকে অবশ্যই অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) বা উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) পদে সম্মিলিতভাবে কিংবা যেকোনো একটি পদে মোট অন্তত তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এর আগে এমডি বা সিইও পদে আবেদনের জন্য যে কোনো নিকটবর্তী ঊর্ধ্বতন পদে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই চলত। নতুন সার্কুলার সেই অস্পষ্টতা দূর করে এএমডি–ডিএমডি পর্যায়ের অভিজ্ঞতাকে বাধ্যতামূলক করেছে, ফলে শীর্ষ নেতৃত্বে নিয়োগের মানদণ্ড আরও সুস্পষ্ট ও কঠোর হলো।

সার্কুলারে এমডি নিয়োগের জন্য একটি বিকল্প যোগ্যতাও যোগ করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংকিং বা আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থায় প্রথম শ্রেণির বা সমমানের সিনিয়র পদে কমপক্ষে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা এবং জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড–২ এর অভিজ্ঞতা থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও সরাসরি এমডি পদে মনোনীত হতে পারবেন।

এই বিধানের ফলে দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রক সংস্থায় কাজ করা সিনিয়র কর্মকর্তাদেরও বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী হওয়ার নতুন সুযোগ সৃষ্টি হলো।

এর আগে ২০২৪ সালের সার্কুলারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তাদের জন্য এমন সুযোগ ছিল না। পাশাপাশি পূর্বের নির্দেশনায় ব্যাংকিং খাতের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে সর্বমোট ২২ বছরের অভিজ্ঞতার যে শর্ত ছিল, নতুন নীতিমালায় সেটি সংশোধন করা হয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×